সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের আরেকটি প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে, পূর্বের নিবন্ধগুলোতে উল্লিখিত দুটি বিষয়ের আলোকে, (1) সোমবারের মার্কেট ওপেনিংয়ের সময় একটি গ্যাপ তৈরি হয়েছিল এবং (2) ইউরোর দর বৃদ্ধিকে সমর্থন যোগানোর মতো কোনো মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না। আমরা এই বিষয়গুলো তুলে ধরার পরপরই, মূল্য দ্রুত গ্যাপটি পূরণ করেছে। যদিও এই সপ্তাহে একটি কারেকশন হতে পারে, তবে ইউরোর মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশার কোনো ভিত্তি আছে কি? আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, নেই। যদিও মার্কিন প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন অস্থায়ীভাবে এই পেয়ারের মূল্যকে সমর্থন যোগাতে পারে, তবে ইউরোর মূল্য সর্বোচ্চ ১০০ পিপস পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের 1.1000 লেভেলে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশা করার মতো কোন যৌক্তিকতা কি আছে? সুতরাং, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অপরিবর্তিত রয়েছে: ইউরোর শক্তিশালী দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম, এবং এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে শুধুমাত্র একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
সোমবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দুটি চমৎকার ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, মূল্য 1.0451 লেভেল থেকে নিখুঁতভাবে রিবাউন্ড করে, যার পরে এটি 1.0526 লেভেল থেকে একইভাবে রিবাউন্ড করে। এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি কম ছিল না, যা নতুন ট্রেডারদের এই সিগন্যাল থেকে বেশ ভালই মুনাফা করার সুযোগ প্রদান করেছে। উভয় ক্ষেত্রেই, এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পেরেছিল।
মঙ্গলবারে ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য আবার কারেকশন চেষ্টা করছে, তবে কেবলমাত্র ইউরোর মূল্যের সীমিত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। আসন্ন দিনগুলোতে একটি ঊর্ধ্বমুখী রিট্রেসমেন্টের সম্ভাবনা, কারণ সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে মূল্য সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে, যা আমরা আগেও একাধিকবার উল্লেখ করেছি—হরাইজন্টাল চ্যানেলের নিম্ন সীমানা। তবে, এটি এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী বা দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
আমাদের বিশ্বাস, মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মূল্য 1.0433–1.0451 এরিয়ায় দুবার রিবাউন্ড করেছে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের ১০০ পিপসের বেশি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0845–1.0851, 1.0888–1.0896। মঙ্গলবার, ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের সর্বশেষ বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, তবে আমাদের দৃষ্টিতে এটি মার্কেটে তেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।