বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার, আবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন প্রসারিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও দুর্বল এবং ধীর, যে সম্পর্কে আমরা কয়েক সপ্তাহ আগেই সতর্ক করেছিলাম। এর কারণ কারেকশন সাধারণত মুভমেন্টের তুলনায় অনেক বেশি সময় ধরে হয়। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের জন্য কোনো কারণ দেখছে না। আমরা মনে করি যে মাঝারি মেয়াদে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য হ্রাস পাবে। তবে, কারেকশনটি শেষ হতে যথেষ্ট সময় নিতে পারে।
গতকাল, জেরোম পাওয়েল বা অ্যান্ড্রু বেইলির কাছ থেকে ট্রেডাররা কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য পায়নি। বেইলি বলেছিলেন যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড আগামী বছর চারবার সুদের হার কমাতে পারে, তবে এই তথ্য মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করেনি। সুদের হার চারবার হ্রাস বেশি না কম—এটি এখনও স্পষ্ট নয়। যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হওয়ায় দিনের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কিন ডলারের সামান্য দরপতন হয়।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, বুধবার অত্যন্ত এলোমেলো মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, পাউন্ডের মূল্য অপ্রত্যাশিতভাবে কমে যায়, কিন্তু তারপরে দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরে আসে। এটি বেইলির বক্তব্য দেয়ার সময়ের সাথে মিলে যায়। এই ধরনের প্রতিক্রিয়াকে যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। পুরো দিনজুড়ে এই পেয়ারের মূল্য 1.2680-1.2685 এরিয়ার অবস্থান করছিল, বারবার তা ব্রেক করছিল এবং সেখান থেকে বাউন্স করছিল। মোট কথা, এটি ট্রেডিংয়ের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি দিন ছিল।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, দুই মাসের দরপতনের পর এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা মাঝারি মেয়াদে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমাদের মতে এটিই একমাত্র যৌক্তিক পরিস্থিতি। এখনও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে, যা শেষ হতে আরও দীর্ঘ সময় নিতে পারে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তিগত কারণে বর্তমানে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করতে পারে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত এলোমেলো মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, এবং যেকোনো বৃদ্ধিকে শুধুমাত্র কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এবং যুক্তরাষ্ট্রে জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা আবারও কম হতে পারে, এবং অত্যন্ত এলোমেলো মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।